ভাবনার অলিগলি


ভাবনার অলিগলি


বাঙালির উপচেপড়া অর্থহীন আবেগ সীমাহীন! যার কোনো তুলনা হয় না। এটা আরেকবার প্রমাণিত হল 'অরিত্রী' নামের স্কুলপড়ুয়া একটি মেয়ের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে। খুব কম মানুষই আছেন যারা আবেগ এবং বাস্তবতাটা পাশাপাশি রেখে ঘটনার বিশ্লেষণ করতে পারেন। এদের মধ্যেও অনেকে আবার নিজেদের মাথাটা বন্ধক দিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন সংস্থা এবং এজেন্সীর কাছে! তাই তারা ঘটনার সত্যতা জানলেও সেসব নিয়ে কিছু বলবে না এটাই স্বাভাবিক!
আমাদের মধ্যে চিন্তার গভীরতা নষ্ট হয়ে গেছে বহু আগেই। নষ্ট করে ফেলেছি আমরা নিজেরাই। একটা বিষয়ের গভীরে গিয়ে অত ভাবার সময় কোথায়? সবকিছুই এখন চাই খুব দ্রুত। শেষও করি আরো দ্রুত। ভুল-শুদ্ধ বাছবিচার না-করেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই। যার নজির দেখা গেল 'অরিত্রী' আত্মহত্যার পর!
প্রথমে বলা হল- 'অরিত্রী' মোবাইলে করে নকল নিয়ে এসেছে, সেজন্যই তার সাথে এমন আচরণ করা হয়েছে! পরে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আবারও জানা গেল- না, সে পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে এসেছিল ঠিকই কিন্তু মোবাইলে করে নকল নিয়ে আসেনি! পুলিশদেরও বক্তব্য তাই! তাহলে শেণিশিক্ষক হাসনা হেনা ্যাডামসহ স্কুলকর্তৃপক্ষ প্রথমে মিথ্যা কথা বলেছিল কেন যে, 'অরিত্রী' মোবাইলে করে নকল নিয়ে এসেছিল? পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যস বলেছে- স্কুলকর্তৃপক্ষ নিজেদের সেভ করতে এমন মিথ্যা কথা বলেছে। মেয়েটির নকল নিয়ে আসার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন! তারমানে ্যাপারটা পুরোই গোলমেলে!
পরেরদিন মেয়েটি তার মা-বাবাকে সাথে করে স্কুলে নিয়ে আসলেও হাসনা হেনা ্যাডাম নাকি তাকে ক্লাসেই ঢুকতে দেননি। মেয়েটির সাথে অনেক খারাপ ্যবহার করেছেন! স্কুলকর্তৃপক্ষ তাকে টি.সি দিয়ে দেবার কথাও বলেছে! কর্তৃপক্ষ মেয়েটির বাবাকেও অসম্মান করে কথা বলেছে। তারপরও মেয়েটির বাবা নাকি ্যানেজিং কমিটির হাতে-পায়ে ধরে বিষয়টার সুরাহা করে ফেলেছিলেন। কিন্তু মেয়েটি বাসায় যাবার পরই আত্মহত্যা করে বসে! বিষয়টা অনেক নির্মম, এতে কোনো সন্দেহ নাই! তবে ঘটনাটি ভাল করে ঘাটলে আরো কিছু বিষয় সামনে চলে আসে!
ধরে নিলাম মেয়েটা পরীক্ষার হলে 'নকল' নিয়ে যায়নি! স্কুল থেকে তার নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে আসা নিষিদ্ধ। তারপরও মেয়েটা সঙ্গে করে মোবাইল নিয়ে এসেছে। স্কুলকর্তৃপক্ষ তাই তার বিরুদ্ধে ্যাকশন নিয়েছে। এতটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু এরপর মেয়েটার সাথে যা যা হয়েছে তার কোনো কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়! তারপরও স্কুলকর্তৃপক্ষ করেছে। কেন করেছে জানেন? তাদের নিজেদের ্যাক্তিগতস্বার্থে! ভিকারুননিসাতে একটা ছাত্রীকে টি.সি দিয়ে বের করে দিয়ে আরেকটা ছাত্রীকে ভর্তি করানো মানেই কয়েক লাখ টাকার বাণিজ্য! সহজভাবে যাকে বলে ্যবসা! শিক্ষা নিয়ে ্যবসা!!
এই বিষয়টা কি রাষ্ট্রের কর্তারা জানেন না? জানেন এবং সেটা খুব ভালভাবেই। তারপরও এসব নিয়ে তারা লাগাতার মিথ্যাচার করেন। মিথ্যা আর অসততা- তাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। শিক্ষা'কে বিক্রি করে যে পরিমাণ ্যবসা হয়, সেজন্য শুধু ঐসব প্রতিষ্ঠান না, এইসব কর্তারাও এখান থেকে ভাগভাটোয়ারা করে খান! সুতরাং এইসব দুর্নীতি এবং অসততার বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে যাবেন কোন দু:খে! তাদের কি ঠেকা লাগছে এসবের বিরুদ্ধে কথা বলার?
শুধু অরিত্রী' মা-বাবাই নয়, এই সমস্ত স্কুলে যে সব বাবা-মা তাদের সন্তানদের ভর্তি করান, সন্তানরা এসব প্রতিষ্ঠানে ভালকরে পড়াশুনা করবে এই মনোভাব নিয়ে, সন্তানদের ফিউচারের কথা চিন্তা করে - তারা কি এইসব স্কুলের এমন কুকীর্তির কথা জানেন না? দুর্নীতির কথা জানেন না? অসততার কথা জানেন না? জানেন। তারা অতটা ভাল করে না-জানলেও জানেন। তারপরও তারা ঐসব স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করানোর জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন! সন্তান মেধার জোরে ঠিকতে না-পারলেও টাকার জোরে হলেও ভর্তি করিয়ে ছাড়েন!
এইরকম অনেক বাবা-মা'কে দেখেছি, তারা আসলে সন্তানদের পড়াশুনার জন্য যতটা না ঐসব স্কুল/কলেজ/ভার্সিটিতে দেন, তারচেয়ে বেশি দেন নিজেদের কথা চিন্তা করে! কারণ কি? সমাজে তাদেরকে মুখ দেখাতে হবে না! সন্তান যদি একটা ব্রান্ডেড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না-পড়ে তাহলে সমাজের লোকদের কাছে তাদের অনেক ছোট হয়ে থাকতে হবে! এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না! অন্যের কাছে বুক ফুলিয়ে কথা বলতে হলে, নিজের সন্তানের ্যাকাডেমিক পরিচয় নিয়ে গর্ব করতে হলে এরকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তি করানো চাই- চাই! সেইসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের কর্তাদের টাকা খাইয়েই হোক বা দুর্নীতি করেই হোক বা মিডিয়াকে হাত করে ্যাপক প্রচার-প্রচারণা করেই হোক বা বছরে বছরে শুধু জিপিএ উৎপন্ন করেই হোক, একবার নিজেদের লাইমলাইটে নিয়ে আসতে পারলেই হল! এইসব প্রতিষ্ঠানে মানুষ হবার দীক্ষা দেয়া হোক বা না-হোক, শিক্ষার্থীকে সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র শেখানো হোক বা না-হোক, লেখাপড়ায় সৃজনশীলতার ছাপ থাকুক বা না-থাকুক তাতে কোনো সমস্যা নাই- সন্তান স্কুলে পড়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এটাই বড় কথা! এইসমস্ত বাবা-মা'দের কাছে এখন শিক্ষার মাপকাঠি হচ্ছে এটাই! জিপিএ ফাইভ পেলেই সন্তান ভাল, তার অনেক মেধা! পরে সে অমানুষ হলেও সমস্যা নাই! জিপিএ ফাইভ না-পেলেই সে মূল্যহীন! আর এই সুযোগটাই নেয় এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো! তাহলে দোষটা দেব কাদের? আবার প্রতিষ্ঠান থেকে অপমানিত হলে বা তিরস্কৃত হলে তখন আবার ঐসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিজেরাই আওয়াজ উঠান, তাদের চৌদ্ধগুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়েন! কেন? কোন যুক্তিতে এমনটি করেন?
সকল মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করি- যেসব প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই থাকে ্যবসা, যেখানে শিক্ষার চেয়ে ্যবসাটাকেই বড় করে দেখা হয়, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজেরাই দুর্নীগ্রস্থ- সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের সন্তানদের পড়িয়ে কি শিক্ষা দিতে চান? কেমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চান? যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের প্রথমেই জিপিএ, সিজিপিএ নামক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেয়, যেখানে অধিকাংশ শিক্ষকদের নীতি-নৈতিকতা আদর্শ বলতে কিছুই নাই- সেইসব প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়িয়ে মানুষ করতে চান? কোন যুক্তিতে??
তা না হলে অরিত্রী মেয়েটার সাথে এরকম আচরণ করা হল কেন, তাও আবার দেশের নামকরা (!?) একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ? একজন শিক্ষক কি করে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারেন একজন শিক্ষার্থীর সাথে? স্কুলকর্তৃপক্ষ কি করে এতটা নির্মম আচরণ করতে পারে একজন পিতার সাথে? শুধু তাই নয়- নিজেদের সেভ করার জন্য আবার এতটা মিথ্যা কথাই-বা বলে কিভাবে? এটাই শিক্ষার নমুনা? এসব উন্নত শিক্ষা? আবার সেই একই অপরাধের জন্য শুধু শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা ্যাডামকে জেলে যেতে হল কিন্তু এই একই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপর দু'জনের শাস্তি হল না কেন? তারা ক্ষমতাবান বলে? এটা কেমন বিচার??
অরিত্রী আত্মহত্যা করার পেছনে যতটা না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দায়ি, তারচেয়েও বেশি দায়ি তার পরিবার। তার মা-বাবা। সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক ্যাগ স্বীকার করতে হয়! যা বর্ণনাতীত! কিন্তু এই সময়ের বাবা-মা'রা এসব কষ্ট করতে চান কতজন? সবকিছুই এখন শর্টকার্টে পেতে চান। তাই তো অনেক অভিভাবক ছেলেমেয়েদেরকে একটা বাণিজ্যিক স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিতে পারলেই যেন সব দায়িত্ব শেষ, এটা ধরেই নেই। ছেলেমেয়ে কার সাথে মিশছে, কার সাথে কথা বলছে, কি নিয়ে কথা বলছে, কোথায় যাচ্ছে, রুমে একা একা বসে কি করছে, মোবাইলে কি করছে, ফেসবুকে ঢুকে কি করছে, ইন্টারনেটে কি করছে, কোন কোন সাইটে যাচ্ছে, পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত কি না ইত্যাদি খোঁজ নেয়া তো দূরে থাক, এসব জানারও চেষ্টা করেন না। অার চেষ্টা করবেনই বা কিভাবে, আজকালকার মা-বাবাদের (অধিকাংশ) নিজেদেরই তো কোনো নীতি-নৈতিকতা নাই! এরা সন্তানদের কি শিক্ষা দেবে?
সমাজে আঙুলফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া লোকদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়! আর এই সমস্ত নামিদামি (!?) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাদের সন্তানরা পড়ে তাদের মা-বাবা'দের অধিকাংশরাই তাদের নিজেদে জীবনে চরম অসৎ! দুর্নীতিপরায়ণ! তাই একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চরম দুর্নীতিগ্রস্থ জেনেও তারা তাদের সন্তানদের সেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেও সমস্যা হয় না! আবার এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে সন্তানরা মানুষ হবে- এইসবও আশা রাখেন কি করে?এর থেকে চরম হাস্যকর বিষয় আর কি হতে পারে? অসৎ টাকায় সন্তানদের সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান, তাও আবার সমস্ত ্যবসায়িক এবং দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে!?
শুধু তাই নয়- এখনো অনেক মা-বাবা স্কুলপড়ুয়া ছোট বাচ্চাকে পাশে বসিয়ে স্টার জলসা, স্টারপ্লাসের সিরিয়ালগুলো বুঁদ হয়ে দেখেন; সেইসব মা-বাবারা সন্তানদেরকে তো গোঁড়াতেই নষ্ট করে গড়ে তুলছেন; তো সন্তানরা তার মা-বাবার কাছ থেকে শিখবেটা কি? এইসব? পরকীয়া কিভাবে করতে হয়, সংসার কিভাবে ভাঙ্গতে হয়, একজনের সাথে আরেকজনের সম্পর্ক কিভাবে নষ্ট করতে হয় এইসব? এইসব শিখিয়ে বড় করে আবার চাইছেন বড় হয়ে সন্তানরা যেন আপনাকে সম্মান করে, দেখভাল করে ? লজ্জা হয় না এসব ভাবতে ?
সন্তান জন্ম দিলেই হয় না। তাদেরকে মানু্ষ হিসেবেও গড়ে তুলতে হয়। তাদেরকে বুঝাতে হয় 'জীবন' কি, জীবনের মানে কি, সে কোথা থেকে এসেছে, মৃত্যুর পর কোথায় যাবে, এই জীবন-মৃত্যুর মধ্যকার সময়টুকু তার করণীয় কাজ কি, বর্জনীয় কাজ কি ইত্যাদি ইত্যাদি। আজকাল কয়জন বাবা-মা তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেন? কতটা দেন?
'অরিত্রী' মা-বাবাও যদি তাকে শিক্ষাটুকু দিতেন, তাহলে ক্লাস নাইনে পড়া একটা মেয়ের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে পারতেন না! মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে একটা নরমাল ফোন দিলেই পারতেন! সে যদি পরিবার থেকে জীবনের মানে, আদর্শ, মূল্যবোধ ইত্যাদির শিক্ষা পেত তাহলে কখনো কোনোদিন আত্মহত্যা করার চিন্তাও মাথায় আনত না! সে জীবনটাকে অন্যভাবে সাজাবার চিন্তা করত! সে বুঝত- জীবনে হেরে যাবার জন্য সে পৃথিবীতে আসেনি। পৃথিবীতে তার অনেক কাজ আছে, কর্তব্য আছে। কিছু নোংরা লোকের কারণে সে কেন তার জীবনটা নষ্ট করবে? জীবন কারো জন্যই থেমে থাকে না। তাকে আরো অনেক দূর যেতে হবে, বহুদূর...!
এমনকি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর মেয়েটির বাবা মেয়েটির সাথে কি আচরণ করেছিলেন? কেমন করে কথা বলেছিলেন? তার গায়ে হাত তুলেননি তো? তখন তার মায়ের ভূমিকা কি ছিল? স্কুলে তার বাবার অপমান সইতে না-পেরে মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে- এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? এসব বিষয়গুলোও ভাল করে খতিয়ে দেখা দরকার!
মাফ করিস অরিত্রী, এই নষ্ট সমাজের নষ্ট মানুষগুলো তোকে বেড়ে উঠতে দিল না! অনেক আগেই তুই ঝড়ে গেলি! জীবনের কাছে হেরে গেলি! এই দেশে তোর মত আরো অনেক ছেলেমেয়ে আছে, যারা এমন করেই, কেউ কেউ আবার তোর চাইতেও অনেক কঠিন পরিবেশে বেড়ে উঠছে! যাদেরকে মানুষ হবার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত ভোগবাদিতার শিক্ষা দিয়ে বড় করা হচ্ছে! যাদেরকে পুঁজিবাদের শিক্ষা দিয়ে একটু একটু করে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে! যারা জানেই না 'জীবন কি', 'জীবনের মানে কি'! তারা তাদের জীবনের উদ্দেশ্যে নিয়েই ভ্রান্ত! ভয় হয়, আবার কোন ভোরে কখন জানি আরেকটা অরিত্রী' চলে যাওয়ার সংবাদ শুনতে হয়! বড্ড বেশি ভয় হয়....!!


 Hussain Ahmed Shrabon


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.